চিরকুটে লেখা—‘প্রস্তুত হ রাজাকার’, এনসিপি নেতার বাড়িতে কাফনের কাপড়

By Rasel Das | ১০ আগস্ট, ২০২৫ | 158 views
চিরকুটে লেখা—‘প্রস্তুত হ রাজাকার’, এনসিপি নেতার বাড়িতে কাফনের কাপড়

ADVERTISEMENT
728 x 90

রাজশাহীতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতার বাড়িতে কাফনের কাপড় রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। এর সঙ্গে একটি চিরকুটও দেওয়া হয়। তাতে লেখা রয়েছে, ‘প্রস্তুত হ রাজাকার। বাপ-মায়ের দোয়া নে। তোদের দিন শেষ।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

এমন হুমকি পাওয়া নেতার নাম খালিদ হাসান মিলু। তিনি এনসিপির রাজশাহী জেলা সমন্বয় কমিটির সদস্য এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সংগঠক। জেলার মোহনপুর উপজেলার ধুরইল গ্রামে তাঁর বাড়ি। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে তাঁর বাড়িতে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করা হয় বলেও তাঁর অভিযোগ। পরে বাড়ির সামনে কাফনের কাপড় ও চিরকুট পাওয়া যায়।

খালিদ হাসান মিলু জানান, শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি বাসায় ঢোকেন। এরপর ঘরে বসে ছিলেন। হঠাৎ জানালার পাশ থেকে অপরিচিত একজনের কণ্ঠ শুনতে পান। তাঁকে বলা হয়, ‘বাইরে বের হয়ে দেখ।’ এরপর তিনি বাড়ির বারান্দায় গিয়ে দেখেন, টিনের সঙ্গে থাকা কাঠের আড়ায় আগুন জ্বলছে। এ সময় তিনি পেট্রলের গন্ধ পান।

মিলু আরও জানান, এ ঘটনার পর তিনি বাড়ি থেকে বের না হয়ে প্রতিবেশীদের ডাকেন। ধুরইল বাজারের নৈশপ্রহরীও আসেন। এরপর তিনি বাড়ি থেকে বের হলে সামনে একটি পলিথিন দেখতে পান। এরপর তিনি পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে পলিথিনের ব্যাগটিতে কাফনের কাপড় ও চিরকুট পায়। পরে পুলিশ সেগুলো নিয়ে যায়।

মিলু বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে ঘরবাড়ি ভেজা অবস্থায় ছিল। ফলে পেট্রল ঢাললেও আগুন ছড়িয়ে পড়েনি। যেটুকু আগুন লেগেছিল, তা আমরা নিভিয়ে ফেলি। এ সময় এসে এ রকম হুমকি পাওয়ায় আমি উদ্বিগ্ন এবং আতঙ্কিত। চিরকুটেই “জয় বাংলা” লেখা আছে। সুতরাং কারা এটি করেছে, তা বুঝতেই পারছি। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করব।’

এনসিপির রাজশাহী জেলা সমন্বয়ক কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী নাহিদুল ইসলাম সাজু বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা খুবই দুঃখজনক ও লজ্জার। এখনো আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা এভাবে আমাদের হুমকি দিচ্ছে। এটা প্রশাসনের ব্যর্থতা। প্রশাসন যদি পুরোপুরি কাজ করত, তাহলে সন্ত্রাসীরা এমন সাহস দেখাতে পারত না। আমরা এ ব্যাপারে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করব, যেন জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা হয়।’

মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান মিডিয়াকে বলেন, ‘খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। আমি খালিদ হাসান মিলুকে লিখিত অভিযোগ করতে বলেছি। অভিযোগ পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি।’


ADVERTISEMENT
Responsive