লোহাগাড়ায় অর্ধশতাধিক ফেনসিডিলসহ পুলিশের তিন র্সোস আটক

মোঃ সেলিম উদ্দীন, লোহাগাড়া::

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় থানা পুলিশের কর্তব্যরত এসআই কামালের নির্দেশমত ফেনসিডিল পাচারকালে অর্ধশতাধিক ফেনসিডিলসহ থানার তিন র্সোসকে আটক করছে জনতা।

গতকাল রাত বারোটায় উপজেলার চুনতি ইউনিয়নে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি বাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে স্থানীয় জনতা লোহাগাড়া সেনাক্যাম্পে খবর দিলে সেনা সদস্যরা তাদের আটক করে নিয়ে যান। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

ছড়িয়ে পড়া ৫ মিনিট ১৮ সেকেন্ডের লাইভ ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় জনতা ফেনসিডিলসহ থানা পুলিশের র্সোস রমিজ, তাজরুল ও গাড়ি চালক নাজিমকে আটক করে। আটককৃত র্সোস রমিজ লাইভ ভিডিওতে বলেন, লোহাগাড়া থানার এস,আই কামাল তাকে ফোন করে লোহাগাড়া থানার সামনের একটি থেকে ভবন থেকে ফেনসিডিল নিয়ে বান্দরবান জেলার আজিজনগর এলাকায় পৌছিয়ে দিতে বলে। ফেনসিডিল নিয়ে যাওয়ার পথে স্থানীয় জনতা চুনতি বাজার এলাকায় মাদক বোঝাই প্রাইভেট কারটি গতিরোধ করে ফেনসিডিলসহ পুলিশের তিন র্সোসকে আটক করে।

আটককৃতরা হলেন, উপজেলার আমিরাবদ ইউনিয়নের পুরাতন বিওসি এলাকার মৃত হাছি মিয়ার পুত্র রমিজ, মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানার ভবের চর এলাকার মৃত শহীদ উল্লাহ পুত্র তাজুল ইসলাম এবং লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের মৃত হাজ্বী আবুল হোসেনের পুত্র নাজিম উদ্দীন।


স্থানীয়ীরা জানান, চুনতি জাঙ্গালিয়ার বন রেঞ্জের কার্যালয়ের সামনে লোহাগাড়া থানার মাদকদ্রব্য উদ্ধারে নিয়মিত চেকপোস্টে থানা পুলিশের সাথে মাদক তল্লাশি ও র্সোস হিসেবে রমিজ ও তাজরুল দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করতেন। মাদককারবারি হয়েও দীর্ঘদিন তারা কিভাবে থানা পুলিশের সাথে মাদক উদ্ধারের নিয়মিত চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করেছে তা এখন সাধারণ মানুষের প্রশ্ন।

এ বিষয়ে লোহাগাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ রবিউল ইসলাম খাঁন জানান, লোহাগাড়া সেনা ক্যাম্পের একটি টিম রমিজ, তাজরুল ও নাজিম নামে ৩ জনকে থানায় হস্তান্তর করেছে। তাদের নামে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয় এবং এস,আই কামাল উদ্দিনের বিষয়ে বিভাগীয় তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।